সজনে ডাঁটার শুক্ত, রুই মাছের মুড়ো দেওয়া ভাজা মুগের ডাল, ঝিরিঝিরি আলুভাজা, পটল-আলুর মাখোমাখো তরকারি, রক্তরাঙা ঝোলের মধ্যে দুইখানি অর্ধগোলক আলু সহ অনেকটা কচিপাঁঠা, কাঁচা আমের পাতলা অম্বল। সবার শেষে মিঠে দধি। এইরূপ আকণ্ঠ মধ্যাহ্ন ভোজের পর, গালে গৃহিণীর হাতের পান লইয়া, পয়লা বোশেখের দুপুরটি দিবানিদ্রায় অতিবাহিত হইত, জানালা দরোজা বন্ধ প্রায় অন্ধকার ঘরে। ... ...
“শেষ পর্যন্ত শহীদ দিবসের প্রায় একমাস আগেই আমার প্রথম শব্দলিপি তৈরী হয়ে গেল।…ঠিক করলাম মাকে প্রথমে একটা চিঠি লিখে আমার যাত্রা শুরু করবো। দিনটি ছিল ২৫শে জানুয়ারী, ১৯৮৫ – দিনটি মনে রাখার বিশেষ কারণ হচ্ছে, কাকতালীয় ভাবে ঐ দিনটি আমার জন্মদিনও ছিল। চিঠিটা এ্যাপেলের ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টারে প্রিন্ট করে সেদিনই ডাকে পাঠালাম মাকে।…১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ – এ চার বছর যখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র – তখন প্রতিটি শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে যেতাম প্রভাত ফেরীতে যোগ দিয়ে। শেষের বছরগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণে আরও ব্যস্ততায় কাটতো ওই দিনটি। ফলে ১৯৮৫ সালে যখন লন্ডন থেকে কম্পিউটারে প্রথম বাংলায় চিঠি লিখে পাঠালাম ঢাকাতে আমার মা’কে, তখন একটা নামই শুধু মনে এসেছিল – শহীদলিপি।” ... ...
"বাবাই পাল এখন মধ্য চল্লিশ! সেই দুগ্গা পুজো, সেই আলোর মালা আর কুয়াশায় মোড়া দশমীর পাড়া, সেই চোখ পাকানো কল্যাণকাকা, সেই দস্যি হেবো.. বা বলা ভালো, নিজের সেই গোটা অমলিন শৈশবটাই এখন অলীক অলৌকিক বলে প্রতীয়মান হয় তার কাছে। দায়দায়িত্ব আর রোজগারপাতির চক্করে পুরুষমানুষের নরমসরম হয়ে রয়ে যাওয়ার জো থাকে নাকি?" ....... পুজোর পরে পুজোর গপ্প! সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন একবার! ... ...
নারীর কবিতা পৃথক হবেই ... ...
নারীরা যে ভাবে বাঁচে ... ...
নতুন গ্রহে ... ...
প্রাণে যা সঞ্চারিত হতে থাকে প্রতিদিন প্রতিটা ক্ষণ ... ...
খিদে পায় ... ...
জীবন চলিয়া যায় ... ...
আপনাদের মতামত চাই ... ...
ঝুরো ঝুরো জীবন ... ...
ঝুরোগল্প ... ...
এবার আমাদের কী হবে ? ... ...
সিন্ধুলিপির রহস্য ... ...
কোথায় যে আনন্দধারা বইছে কে জানে ... ...
চাইবাসা চাইবাসা ... ...
ঝুরে পড়ছে দেশ সমাজ মানুষ ঝুরে ঝুরে পড়ছে ... ...
কতো বই পড়া হয়নি । আর পড়ার সময় নেই ঈ ... ...
আজ পৌষ বা মকর সংক্রান্তির ভোরবেলায়, ১ মাস ব্যাপী টুসু উৎসবের শেষ দিন রাঢ়বাংলার বিশেষত পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের গ্রামীণ মেয়েরা দলবদ্ধভাবে যখন টুসুগান গাইতে গাইতে টুসুদেবীর ভাসানের জন্য চলেছেন জলাশয়ে বা নদীতে। যখন টুসুর জাগরণের শেষ দুই রাত জেগে গান গেয়ে গেয়ে ঘরে ঘরে তাঁরা তৈরি করেছেন গড়গড়্যা বা বাঁকা বা উধি পিঠা, পুর পিঠা আর নানারকম মিষ্টি । ঠিক এরকমই এক সময়ে আজ থেকে ঠিক ৭দশক আগে মানভূমের আপামর বাঙালি আর বাংলাভাষী ভূমিজনেরা তাঁদের টুসুপরবকে উদযাপন করেছিলেন মাতৃভাষার মর্যাদা আর স্বীকৃতির দাবিতে লেখা অসংখ্য রাজনৈতিক টুসুগানের কথায় সুরে। খেটে খাওয়া গরিব গ্রামীণ মানুষের এই সর্বতোভাবে অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনটির একমাত্র হাতিয়ার ছিল টুসুগান। আর ঠিক এ কারণেই এই আন্দোলন আজও অনন্য হয়ে রয়েছে 'টুসু সত্যাগ্রহ' নামে। ... ...